Header Ads Widget

 


পুষ্টি নিয়ে "বারটান", যা করলো জ্ঞান দান।

 

বেলাল হোসেন ঠাকুরগাঁও


 গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (বারটান), আঞ্চলিক কার্যালয় পীরগঞ্জ, রংপুরের আয়োজনে সু-স্বাস্থ্যের জন্য ফলিত পুষ্টি বিষয়ক তিন দিনের প্রশিক্ষণ রাণীশংকৈল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ঠাকুরগাঁওয়ে সম্পন্ন হয়।

উক্ত কার্যালয়ের সহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ নুরুন নবী এর সঞ্চালনায় উক্ত গবেষণা প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডঃ মোঃ আব্দুর রাজ্জাকের তত্ত্বাবধানে উক্ত প্রশিক্ষণটি পরিচালিত হয়। প্রশিক্ষণে সাংবাদিক, কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, স্কুল-কলেজের শিক্ষক, মসজিদের ইমাম, এনজিও কর্মী এবং অন্যান্য পেশাজীবীসহ ৩০ জন কৃষাণ-কৃষাণীসহ মোট ৬০(ষাট) জন প্রশিক্ষনার্থী অংশগ্রহণ করেন।

সু-স্বাস্থ্যের জন্য পুষ্টি কতোটা গুরুত্বপূর্ণ, কিভাবে সেই পুষ্টি মানব জীবনে প্রভাব ফেলে এবং পুষ্টির অভাবে মানবজাতি কতোটা হুমকি স্বরূপ তা নিয়ে বিশদ আলোচনা ও তথ্য প্রদান করেন প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী আলোচকগ।

আলোচকগ বলেন- বাংলাদেশের জনগোষ্ঠীর অধিকাংশই খাদ্যের ০৬ (ছয়)টি খাদ্য উপাদানের মধ্যে শর্করা, আমিষ এবং স্নেহ জাতীয় খাদ্য বেশি পরিমাণে গ্রহণ করে থাকে। যার ফলে শরীরের স্থূলতা, রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ক্যান্সারের মতো জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এবং তারা বিশেষ করে শিশু এবং নারীরা পুষ্টিহীনতায় ভোগে অ্যানিমিয়া, নিউমোনিয়া সহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

 এসব কারণে আলোচকগণ খাদ্যের সুষম ব্যবহারের কথা উল্লেখ করে বলেন- শর্করা, আমিষ, স্নেহ জাতীয় খাদ্যের পাশাপাশি ভিটামিন ও খনিজ উপাদান সমৃদ্ধ খাবার অধিক পরিমাণে গ্রহণের কথা বলে একই সাথে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পানি করার উপর জোর দিয়েছেন।

তাঁরা বলেন- আমাদের খাদ্য অভ্যাসে পরিবর্তন নিয়ে আসতে হবে এবং ফলিত পুষ্টির ০৪ (চার)টি ধাপ আমাদের কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে। যেটা হলো- সবাইকে সঠিকভাবে বাজার নির্বাচন, রান্নার জন্য প্রস্তুত ও রান্না করা, এবং সঠিক নিয়ম ও সময়ে খাবার খাওয়া।

এছাড়াও বিষমুক্ত খাবার গ্রহণের পাশাপাশি নিরাপদ ভাবে ফলমূল ও সবুজ শাকসবজি চাষাবাদের উপর গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছেন। খুব বেশি প্রয়োজন হলে বায়ো-পেস্টিসাইড কৃত কীটনাশক ব্যবহারের কথা উল্লেখ করেন।

বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (বারটান) এর আলোচকগণের পাশাপাশি ঠাকুরগাঁও খামারবাড়ি ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ সিরাজুল ইসলাম, রাণীশংকৈল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্মকর্তা মোঃ শহীদুল ইসলাম, অতিরিক্ত কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ সাবের আলম, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ রুপম চন্দ্র মহন্ত, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ রাকিবুল ইসলাম আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।

 প্রশিক্ষণ বাস্তবায়নকারী "বারটান" এর অঙ্গ-সহযোগী "কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা জোরদার করণ প্রকল্প" প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের মাধ্যমে সমগ্র দেশবাসীদের মাঝে প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।

উল্লেখ্য যে, ভেজাল মুক্ত ও দূষণমুক্ত খাবার- নিরাপদ খাবারের কথা উল্লেখ করে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ শহীদুল ইসলামের উদ্বোধনী-স্বাগত এবং সমাপনী বক্তব্যের মধ্য দিয়ে ১৭  ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে শুরু হয়ে ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে সম্পন্ন হয়।

Post a Comment

0 Comments