ষ্টাফ রিপোটার
নাটোরের লালপুরে শীতের শুরু থেকেই শুরু হয় গুড় তৈরির ধুম কিন্তু খেজুরের রস ছাড়াই তৈরি হচ্ছে সব গুড় ! গোখাদ্য ফিটকিরি, ডালডা,চিনি, চুন ও হাইড্রোজের মতো উপাদান দিয়ে তৈরি এই গুড়ে বিন্দুমাত্র থাকে না খেজুর রস। উপজেলার ওয়ালিয়া পশ্চিম কারিগর পাড়া সহ বিভিন্ন হাটবাজার সয়লাব হয়ে গেছে এই খেজুর গুড়। বাজারে খেজুরের গুড়ের নামে যা বিক্রি হচ্ছে তার অধিকাংশই চিনি,আলু ফিটকিরি,রং ও আটা দিয়ে বিশেষ প্রক্রিয়ায় তৈরি। শীত মৌসুম এলেই এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী সামান্য লাভের আশায় খেজুরের গুড়ের সাথে চিনি ও ফ্লেভার মিশিয়ে খাঁটি খেজুরের গুড় নামে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। যা ক্রেতাদের সাথে বড় ধরনের প্রতারণা। স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে,এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা তৈরি করছে ভেজাল খেজুরের গুড়। পশুর খাদ্য হিসাবে ব্যবহার করা পচা গুড়ের সাথে চিনি, রং,সোডা,ফিটকিরি, হাইড্রোজসহ বিভিন্ন কেমিক্যাল মিশিয়ে তৈরি করা গুড়,যা যাচ্ছে ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। এদিকে পাইকারী বাজারের চেয়ে দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে খেজুরের গুড়। যদিওবা লালপুর উপজেলা প্রশাসন প্রায়ই অভিযান পরিচালনা করে থাকেন।তবে নিয়মিত কর্তৃপক্ষের কার্যকরী পদক্ষেপ নিলে ভেজাল গুড়ের মাত্রা অনেকটা কমিয়ে আনা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন একাধিক ভোক্তা। এব্যপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান,জানান জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এধরনের কার্যক্রমের সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ থাকলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা বিরুদ্ধে ভবিষ্যতেও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। অন্যদিকে স্যানেটারি ইন্সপেক্টর চিকিৎসকরা জানান,এধরনের খাদ্য মানবদেহে প্রবেশের ফলে ক্যানসার বিভিন্ন অরগান ড্যামেজ সৃষ্টি করতে পারে। শিশুদের জন্য তো এমন খাদ্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
0 Comments