১৬ই ডিসেম্বরে তারাগঞ্জের স্কুলেগুলোতে দায়সারা দিবস পালিত নেই কোনো কর্মকান্ড।

 

রংপুর জেলা প্রতিনিধি 

মো: শরীফ মেহেদী হাসান। 

১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস-২০২৪ সরকারি ভাবে উদযাপিত হওয়ার নির্দেশ থাকলও তা পালন করেন নাই রংপুর তারাগঞ্জ উপজেলার অধিকাংশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগণ। এঘটনায় পুড়া তারাগঞ্জ উপজেলা জুরে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ইকরচালী ইউনিয়নের জগদীশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম রহিমাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাতিবান্ধা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ কয়েকটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বিরুদ্ধে এ চরম অনিয়ম দূর্ণিতীর অভিযোগ উঠেছে। পশ্চিম রহিমাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ইসলাম ও শাজাহান ইসলাম সহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিকদের জানান, আমাদের স্কুলে দীর্ঘদিন থেকে ক্লাস হয় নাই। আজ ১৬ই ডিসেম্বর তাও হেট স্যার স্কুল আসে নাই। জগদীশপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী নিশি রোল নম্বর ১ ও বুলবুলি রোল নম্বর ২ এবং পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র নায়িম রোল নম্বর ১৪দের সাথে ওই স্কুলে ১৬ই ডিসেম্বর সকাল ১১টার সময় গিয়ে সামনে গিয়ে কথা হলে তারা সাংবাদিকদের একথাগুলো জানান, আমাদের হেট স্যার ১৬ই ডিসেম্বর সম্পর্কে আমাদেরকে কিছুই বলেন নাই।  সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালম আজাদ জানান, মহান বিজয় দিবস ১৬ই ডিসেম্বর ওই দিন সূর্য দায়ের সাথে সাথে জাতীয় পতকা উত্তোলণ ও শহিদ মিনারে ফুলের পুষ্পমাল্য অর্পণ করে বিদ্যালয় গুলোতে সংক্ষিপ্ত আকারে বিভিন্ন প্রকার খেলাধুলার আয়োজন করার নিয়ম থাকলেও তা না করে বিদ্যালয়ের শহিদ মিনার গুলো পড়ে আছে অযত্নে অবহেলায় কিছু স্কুলের শহিদ মিনারের মেঝেতে শুকানো হচ্ছে ধান সহ অন্যান্য সামগ্রী। বিষয়টি আমরা শুনেছি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এঘটনায় দায়ী অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক লুতফার রহমান ও জগদীশপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হরিপদ রায় বলেন, এবারে ওই রকম কোন নিয়ম নেই। তাই শহীদ মিনারে ফুলেল শ্রদ্ধা অর্পণ করা হয় নাই। প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আঞ্জুমান আরা বলেন, দিনের মধ্যে যেকোনো এক সময়ে স্কুল খুললে হলো